গোছালা : আজকের আলোচ্য বিষয় পশ্চিম সিক্কিমের এমন ভ্রমণের জায়গা নিয়ে যেটা যাওয়া খুব একটা সহজ না। “লা” শব্দটির অর্থ হলো মাউন্টেন পাস। গোছালার উচ্চতা ৪৯৮০ মিটার (১৬৫০০ ফুট ), যেখানে অনেকেরই অনেক শারীরিক সমস্যা হয় যেমন, মাথা বেথা করা, বমি বমি ভাব , খাবার অরুচি। এগুলোকে বলা হয় হাই অল্টিটুড সিকনেস অথবা একিউট মাউন্টেন সিকনেস। তা বলে এই নিয়ে ভয় পাবার বা চিন্তা করার কিছু নেই। অনেক উচ্ছ পর্বত শৃঙ্গ এই গোছালা যাবার পথে দেখা যায়, যেমন, মাউন্ট পান্ডিম, মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা, মাউন্ট জুপনু ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক কষ্ট করে যখন গোছালা পৌঁছানো হয় তখন ওখানে গিয়ে বিশিষ্ট ভাবে মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা, মাউন্ট পান্ডিম এর মতন উচ্ছ পর্বত শৃঙ্গ দেখে সত্যি সব কষ্ট কেমন যেন ফেকাসে মনে হয়। মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা বিশ্বের তৃতীয় উচ্ছ পর্বত শৃঙ্গ বলে পরিচিত। এতো কাছ থেকে এই বিশাল পর্বত শৃঙ্গকে আর মনে হয় না কোথাও থেকে দেখা যায় গোছালা ছাড়া। ভোরের সূর্যের ওই রং যা এই পর্বত শৃঙ্গকে রাঙিয়ে তোলে সেই দৃশ্য, তাও আবার এতো কাছ থেকে যেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। মনে হয় সোনা দিয়ে মুড়ে গেছে এই পর্বত শৃঙ্গগুলো। আসলে গোছালা একটা এমন ট্রেক যেটার মধ্যে জঙ্গল থেকে শুরে করে বড়ো বড়ো পাথরের এলাকা পার করে নদী পার করে পৌঁছতে হয় এই স্বর্গরাজ্যে। ঠিক এমনি একদিন ঘরে বসে বসে চিন্তা করছি কোথায় যাওয়া যায়। এই ট্রেকটা ২০১৯ সালে অফিসে ছুটি পাওয়া যায় নি বলে বাতিল হয়েছিল। তখনি ভেবেছিলাম পরের এডভেঞ্চার এটা তেই যাবো। হটাৎ এই কথাটা মাথায় চলে আসে। তারপর আর কি ! যেমন চিন্তা তেমন কাজ। ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম এ বিজ্ঞাপন দিতে থাকি যে যদি কেউ রাজি থাকো তাহলে যোগদান করতে পারো, আমি টীম বানাচ্ছি। আসলে, সত্যি বলতে, এই ট্রেক এ খরচ অনেক, তাই, যত বেশি টীম মেম্বার্স হবে তত খরচ কমবে। আস্তে আস্তে বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই ফোন করতে থাকে, ইনফরমেশন নিতে থাকে, কিন্তু, কেউ রাজি হয় না। শেষের দিকে একটু চিন্তায় পড়েগেছিলাম কারণ, মনে হচ্ছিলো, একাই করতে হবে, তাতে খরচ অনেক। আবার ট্রেন এর টিকেটও কাটতে হবে। প্রায় সমস্ত ট্রেন ওয়েটিং লিস্ট এ ছিল তখন। পরে ভাবলাম, আর কিছুদিন দেখি, কেউ কন্ফার্ম হলে টিকেটটা অন্তত কেটে রাখবো যাতে যাবার আর আসার সমস্যা না হয়। হটাৎ ৩ জন কন্ফার্ম করে দিলো। আর কি কেউ দেরি করে ! সঙ্গে সঙ্গে টিকেট কেটে ফেললাম। তার কিছুদিন পরে আবার ৩ জন কন্ফার্ম করলো। এবার একটু স্বস্তি পেলাম, যে, যাক, খরচ কিছুটা কমানো গেলো। ঠিক যাবার কিছুদিন আগে ৩ জন ক্যানসেল করে দিলো। আবার চিন্তা, যাবার সময় হয়ে গেছে, এবার ৩ জনের শুন্যস্থান পূরণ করি কি করে ! ভগবানের অনেক আশীর্বাদ, ঠিক তার কিছুদিন পরেই আরো ৩ জন কন্ফার্ম করে দিলো । ব্যাস, শুন্যস্থান পূরণ হয়ে গেলো।
৬ জনের টীম নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করলাম নিউ জলপাইগুড়ির উদ্যেশে। দিনটা ছিল ১১ ই অক্টোবর ২০২২।
পদাতিক এক্সপ্রেস করে ১২ ই অক্টোবর ২০২২ সকালে পৌঁছলাম নিউ জলপাইগুড়ি। ওখানে আমাদের গাড়ি আগে থেকেই বলা ছিল। সারাদিন যাত্রা করে বিধস্ত অবস্থায় পৌঁছলাম যুকসাম। পৌঁছতে আমাদের রাত হয়ে গেছিলো। কিন্তু, রাস্তায় তেমন কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়নি। রাত্রে খাবার খেয়ে পরের দিনের ট্রেক প্লানটা সেরে ফেললাম টীম এর সাথে। তারপরে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে চলে গেলাম কারণ, অনেকটা পথ ট্রেক করতে হবে। ১৩ ই অক্টোবর ২০২২ সকাল বেলা যাত্রা শুরু করলাম যুকসাম থেকে সকার উদ্যেশে। অনেকটা পথ। আগের দিন প্রচুর বৃষ্টি হওয়াতে ধস হয়েছিল। তাই রাস্তা অনেক কঠিন হয়ে যাওয়াতে আগেরদিন রাত্রেই এই আলোচনা করা হয় যে আমাদের রুকসাক গুলো আমরা ঘোড়ায় দিয়ে দেব। আসলে ঘোড়ায় দেওয়ার কোনো প্ল্যান ছিল না আমাদের। কিন্তু, আমাদের শেরপা আমাদের বললো যে ঘোড়ায় দিয়ে দিতে কারণ রাস্তা অনেক কঠিন হয়ে গেছে ধস এর জন্য। যেমন ডিসিশন হলো ঠিক তেমনি কাজ করলাম। অনেকটা চড়াই আর কিছুটা উৎরাই করেত করতে এগোতে থাকলাম । ঘুটঘুটে অন্ধকার আর তার মধ্যে ঠান্ডা আর মাথার টর্চ লইট্টা জ্বালিয়ে অবশেষে সকা পৌঁছলাম। সবাই অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছিলো সারাদিন হেটে। পৌঁছে দেখি কখন যে পায়ে জোখ রক্ত খেয়ে চলেছে বুঝতেই পারি নি। জামা খুলতেই ঘাড় থেকে জোখ পড়লো মাটিতে। সে এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা। সকা আসার সময় টিমটিমে টর্চের আলোয় চমরী গাই এর চোখ জল জল করছিলো। ভয়ে সবার অবস্থা প্রায় সুচনীয়। যাই হোক টেন্ট এ রাত্রের গরম গরম খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম। ঠান্ডাও ছিল প্রচন্ড।
১৪ ই অক্টোবর ভোর ৩ টের সময় উঠে ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পর্বত শৃঙ্গের ছবি তুলতে। ঘুটঘুটে অন্ধকার, ঠান্ডা হাওয়া, হাত পা কাঁপছে ঠান্ডায়, ক্যামেরার ব্যাটারী খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে, এই সমস্ত কিছু অতিক্রম করে ছবি তুলে আবার টেন্ট এ ঢুকে গেলাম। কিছুক্ষন পরে একটু আলো বেরোতেই আমরা ব্রেকফাস্ট করে রওনা দিলাম ফেদাঙ এর উদ্যেশে।
এ যেন এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা। একদম চড়াই। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আঁকা বাঁকা পথ দিয়ে চলতে চলতে অনেক কষ্ট করে অবশেষে পৌঁছলাম ফেদাঙ। ভাবলাম এখানেই বোধয় আজকের আস্তানা। ভেবে, একটু শান্তি পেলাম। কিন্তু, সুখ কি আর কপাল এ আছে ! আমাদের শেরপা বললো, এখানে শুধু দুপুরের খাবার খেয়ে রওনা দিতে হবে ডরিং এর উদ্যেশে। এবং তাড়াতাড়ি করতে হবে, নয়তো রাত হয়ে যাবে। উপায় নেই, তাই, তাড়াতাড়ি খেয়ে রওনা দিলাম। সন্ধে হতে হতেই পৌঁছে গেলাম ডরিং। বাপ রে বাপ সে কি মারাত্মক ঠান্ডা। মাইনাস এ চলে গেছে আবহাওয়া। ডরিং এ পৌঁছে ওই ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে গরম গরম খাবার খেয়ে স্লিপিং ব্যাগ এ নিজেকে ঢুকিয়ে নিলাম। তার মধ্যে শুরু হলো মাথা বেথা। ওই যে আগেই বলেছিলাম বিষয়টা নিয়ে। সারারাত ধরে মাথা বেথায় ঠিক করে ঘুমটাও হলো না। হবে কি করে ! এরম অসস্থি হলে কি আর ঘুম হয় !
১৫ ই অক্টোবর ভোর ৪ টের সময় মাথায় লাগানো টর্চ লাইট এর আলোতে রওনা দিলাম জংরি টপ এর উদ্যেশে। যেন মনে হচ্ছিলো আমাদেরকেই লাইট পয়েন্ট করা হয়েছে। চারিদিকটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। অনেকটা চড়াই করে অনেক কষ্ট করে আমাদের প্রথম গন্থবস্থলে পৌঁছলাম। ভোর বেলাতে ডরিং এ টেন্ট থেকে বেরিয়ে দেখি শিশির গুলো জমে গেছে ঠান্ডায়। এমনকি জল ও জমে বরফ। জংরি টপ থেকে ভোরের প্রথম সূর্যের আলোতে আলোকিত হয়ে উঠলো নানান উচ্ছ শৃঙ্গগুলি। মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা, মাউন্ট জুপনু, মাউন্ট টেনজিঙ কাং, মাউন্ট ফ্রেয় পীক, মাউন্ট সিম্বোছে, মাউন্ট পান্ডিম, মাউন্ট কাব্রু ডোম ইত্যাদি এই পর্বত শৃঙ্গগুলো সেই আলোয় যেন নিজেকে রাঙিয়ে তুলেছে। আহা সে কি দৃশ্য! প্রকৃতির অদ্ভুত অজানা সৌন্দর্য যা দেখার জন্য এতদিনের কষ্ট, অপেক্ষা, সবটাই মনে হচ্ছিলো এক অজানা গল্পের রাজ্য।
জংরি টপ থেকে দেখা যাচ্ছিলো থানসিং যেটা আমাদের সেই দিনের পরবর্তী গন্থব্যস্থল। কিছুক্ষন জংরি টপ এ সময় কাটিয়ে, ছবি তুলে, আমরা নেমে এলাম আবার ডরিং এ আমাদের ক্যাম্প এ। সকালের খাবার খেয়ে আবার রওনা দিলাম থানসিং এর উদ্যেশে। জঙ্গল এখনো শেষ হয় নি। তবে, গাছের ওপর অবশ্যই ওই ঠান্ডায় বরফ জমে গেছে। মনে হচ্ছে কেউ ওই গাছ গুলোকে সাদা রং করে দিয়েছে। জঙ্গল, নদী, সব পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম থানসিং। তখনো সন্ধে হয় নি। কিন্তু ঠান্ডা মারাত্মক তার সাথে বইছে ঠান্ডা হাওয়া। শুধু ঠান্ডা থাকলে ক্ষতি ছিল না, কিন্তু, হাওয়া ওই পারদ কে আরো নামিয়ে দেয়।
থানসিং আস্তে আস্তে পুরো রাস্তাতেই দেখতে পেলাম সব উচ্ছ শৃঙ্গ গুলিকে। এক এক সময়ের এক এক রং এ যেন নিজেদের কে রাঙিয়ে তুলছে নীল আকাশের আনাগোনায়। না ভোলার এক প্রকৃতি।
থানসিং পৌঁছে খাবার খেয়ে রওনা দিলাম লামুনের উদ্যেশে। একটু এগিয়ে গেলাম, কারণ, এর পরে যে ফাইনাল গন্থব্যস্থল, গোছালা, যার জন্য এতো কষ্ট, বুক জুড়ে এতো অপেক্ষা । লামুনে যাবার পথে আমাদের টিমের এক সদস্যের বমি শুরু হলো। আমরা একটু চিন্তায় পরে গেলাম কি করে তাকে নিয়ে যাবো। আবার কখনো মনে হলো সেই সদস্যকে নিচে ফেরত পাঠিয়ে দি। হাই অল্টিটুডে বেশিক্ষন ধরে বমি হলে নিচে নামিয়ে আনাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিছুক্ষন পর তাকে অনেক জল খাওয়ানো হলো এবং বমির ওষুধ ও দেওয়া হলো। তারপর থেকে আর অসুবিধে হয় নি। তাই তাকে নিয়েই উঠলাম লামুনে তে। থানসিং এ থাকলে রাত ১ টায় বেরোতে হতো, কিন্তু, লামুনে তে থাকলে রাত ৩ টার সময় বেরোলেই হয়।
তাই আমরা লামুনেতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম। ক্যাম্প খাটিয়ে লামুনে তে খেয়ে দেয়ে রাত ৮ টার সময় ঘুমোতে গেলাম কারণ আর কিছু ঘন্টা পরেই তো যাত্রা শুরু করতে হবে।
১৬ ই অক্টোবর, অবশেষে সেই দিনটা চলে এলো, যেদিনটার প্রতীক্ষায় আমরা সবাই আশায় ছিলাম। ভোর ৩:৩০ নাগাদ আমরা রওনা দিলাম গোছালার উদ্যেশে। নদির জল জমে বরফ হয়ে গেছে। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে মাথার টর্চ লইট্টা জ্বালিয়ে চড়তে শুরু করলাম। পাথরগুলো পেছল হয়ে গেছিলো। পা দিলেই পিছলে যাচ্ছিলো। তাই খুব সাবধানে ধীরে ধীরে এগোতে থাকলাম আমরা। প্রায় ঘন্টা ৩ এক হাঁটার পর এলো সমিতি লেক। কি অপূর্ব দৃশ্য আর কনকনে ঠান্ডা। তারপর এলো সেই জায়গা, ঠিক সমিতি লেক পার করে, অনেকটা খাড়াই এবং পাথরে ভর্তি। সবার শরীরের শক্তি সব টুকু শেষ। আছে শুধু মাত্র মনের জোর। আর এই মনের জোর তো বজায় রাখতে হবে নাহলে গোছালা পৌঁছানো যাবে না। তাই সবাই একে অপরকে মনের জোর দিতে দিতে এগোতে থাকলাম। হটাৎ, একজন বলে উঠলো, এই তো এসে গেছি, আর একটু খানি। ব্যাস আর একটু জোর দিলেই পৌঁছে যাবো সবাই। এই বলতে বলতে ঠিক সকাল ৭:১০ মিনিটে পৌঁছে গেলাম গোছালা।
আমাদের ইচ্ছে, স্বপ্ন, অনেকদিনের আবেগ, ভালোবাসার ইতি হলো গোছালা। মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা, মাউন্ট পান্ডিম কে এতো কাছ থেকে দেখবো ভাবতে পারিনি কোনোদিন।
এই গোছালার নামকরণ মাউন্ট গোয়াচা থেকে। গোছালায় তিনটে ভিউপয়েন্ট আছে। ভিউপয়েন্ট ১, ২ এবং ৩। ভিউপয়েন্ট ১ অব্দি ট্রেক করতে দেয় তার পরে আর যেতে দেয় না। এর দুটো বিশেষ কারণ রয়েছে। গোছালা আসলে একটা লেক যেটা ভিউপয়েন্ট ৩ এ গেলে দেখা যায়। পশ্চিম সিকিম এ এই লেক কে নেপালিরা তাদের ভগবান মানে, কারণ, তারা মনে করে তাদের পূর্বপুরুষরা ওখানে ছিল এবং আজও তারা ওখানে গিয়ে পুজোপাঠ করে । তাই ওদের ছাড়া এবং ভারতীয় সেনা ছাড়া আর কাউকেই ওখানে যেতে অনুমতি প্রদান করে না সিকিম সরকার। দ্বিতীয় কারণ হল ওখানে স্নো লেওপার্ড আসে। তাই যাতে ওদের অস্তিত্বে প্রভাব না পরে মানুষ গেলে তাই অনুমতি প্রদান করা হয় না। তো সে অনেক গল্প, বললে শেষ হবে না। সবাই খুব খুশি, আনন্দে কি যে করবে বুঝতে পারছে না। ছবি তোলা শেষ হলো। সবাই একে অপরকে সম্বর্ধনা জানালো, কোলাকুলি করলো এই সফলতার জন্য । তারপর গোছালা তে বেশ কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে একই পথে নামতে শুরু করলাম। যখন নামছিলাম বার বার পেছন ফিরে তাকাচ্ছিলাম। ছেড়ে আসতেই ইচ্ছে করছিলো না। কিন্তু, কি করবো, হাই অল্টিটুডে এ বেশিক্ষন থাকাটা সেফ নয়। মন না চাইলেও ফিরতে হল। কিন্তু অনেক কিছু নিয়ে ফিরলাম। প্রকৃতির ভালোবাসা, সৌন্দর্য, হিমালয়ের বুক ভরা ভালোবাসা এই সব পাওয়া কি কম কিছু !
কথায় আছে, হিমালয় কে মন থেকে ভালোবাসলে, সে কখনো খালি হাতে ফেরায় না। আবার যাবো কোনোদিন কোনো হিমালয়ের ভালোভাসা কুড়োতে।
আমাদের স্পনসর : ডগলাস মেমোরিয়াল হাইআর সেকেন্ডারি স্কুল
টিমের সদস্য : পঙ্কজ দত্ত, সৌমেন্দু দাস, অরিজিৎ চক্রবর্তী, অর্ঘ্যজিৎ চক্রবর্তী, রূপম দে, ঋতুরাজ পাত্র
শেরপা : পাসং শেরপা