প্রথম পর্ব
২০০৮ এ হরিদ্বার থেকে বদ্রীনাথ যাবার সময় হরিদ্বারের ট্রাভেল এজেন্সির মালিক পঙ্কজ শর্মা আমাদের যে গাড়ি দিয়েছিল, তার ড্রাইভার ববি আমাদের খুব কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিল৷
তাই ২০১৪ র মে মাসে কুমায়ুন ভ্রমনের সময় আমার স্বামী পঙ্কজ শর্মার সাথে যোগাযোগ করে গাড়ি চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের ওখানেই ভুল হয়েছিল, গাড়োয়ালের ড্রাইভার যে কুমায়ুনের জন্য ফলপ্রসু হবে না সেকথা যখন বুঝলাম অনেক দেরী হয়ে গেছে।
তবু কুমায়ুন-হিমালয়ের কোলের কয়েকটি পার্বত্য জনপদে ঘুরে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তাই জানাতে এ লেখার অবতারণা।
মে মাসের গরম থেকে বাঁচতে এক মধ্যরাতে আসানসোল স্টেশন থেকে চড়েছিলাম,বাগ এক্সপ্রেসে। দুরাত-একদিন পর সকালে গিয়ে নামলাম কাঠগোদাম স্টেশনে।
বাইরে পঙ্কজের গাড়োয়াল ড্রাইভার রাওয়াত আমাদের নিয়ে চলল প্রথম গন্তব্য ‘মুক্তেশ্বরে‘ ।
নৈনতালের পাশ দিয়ে নৈনি লেক দূর থেকে দেখে আমাদের ড্রাইভার রাওয়াত ক্ষিপ্র গতিতে প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার পথে গাড়ি ছোটাল ৭৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত উত্তরাখন্ডের গ্রাম মুক্তেশ্বরের দিকে।
বুঝতেই পারছেন,পাহাড়ি রাস্তায় এই গতিবেগে চালানো গাড়িতে যেমন প্রতিমুহুর্তে দুর্ঘটনার ঝুঁকি,তেমনই আমাদের মা-মেয়ের শারিরীক অবনতি শুরু। পেটে পাক দিয়ে ওঠা শেষ জলবিন্দুটুকু উগরে দিতে দিতে উঠে এলাম মুক্তেশ্বরের মুক্ত আবহাওয়ায়।
একে-তাকে জিজ্ঞেস করে এখানের একমাত্র সরকারি পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের গেস্ট হাউসে গিয়ে ঘর পেয়ে গেলাম। মূল ভবনের ওপাশের কটেজের ভাড়া কিছুটা কম তাই কটেজই নিলাম। সুন্দর কটেজ পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন।
ব্যাগ রেখে, গিজারের জলে স্নান সেরে তৈরি হচ্ছি,মেয়ে বাথরুমে ঢুকেছে,এমন সময় বাথরুম থেকে মেয়ের চিৎকার করে কান্না! বাথরুমের জানালায় নাকি কার মুখ দেখেছে! ও তাকাতেই সরে গেছে। তাড়াতাড়ি বাইরে এসে দেখি কেউ কোত্থাও নেই, চৌকিদার ছুটে এসে জানায় ওদিকে কেউ নেই।
নিরালা নির্জন পাহাড়ের জঙ্গলে এই গেস্ট হাউস তায় আবার পেছনের কটেজ, সেখানে কে আসবে অসভ্যতা করতে? হঠাৎ ওপরে তাকিয়ে দেখি গাছের ডালে একটা বাঁদর বসে পিঠ চুলকাচ্ছে। বুঝলাম এনারই কীর্তি। ইনিই জানালায় উঁকি মেরে,চিৎকার শুনে লাফ দিয়ে গাছে চড়েছেন! যাক্ ঘাপটি মারা চোরের সন্ধান পেয়ে নিশ্চিন্ত হলাম।
মুক্তেশ্বর উত্তরাখন্ডের কোলাহলহীন নির্জন পাহাড়ি গ্রাম,যেখানে সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো একটি প্রাচীন শিবমন্দির পাহাড়ের ওপরে নিরালা কোনে ভক্ত সমাগম ছাড়াই নিত্য পূজিত হচ্ছেন স্থানীয় নির্লোভ পুরোহিতের হাতে।
আমরা সেই প্রাচীন মন্দির দেখতে উঠলাম হিমালয়ের চড়াই ভেঙে। ঠিক তার নীচেই রয়েছে ভারতীয় গবাদি চিকিৎসকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো ক্যাম্পাস। এখন এই বিশ্ববিদ্যালয় ইটানগরে স্থানান্তরিত হয়েছে।
একটি পাথরের চাটান যার স্থানীয় নাম চোলি কে জালি। এখান থেকে রক ক্লাইম্বিং হয় আর নীচের পাহাড়ি উপত্যকা আর হিমালয়ের বাইশটি শৃঙ্গ দেখা যায় মেঘমুক্ত আকাশে। যদিও আমাদের ভাগ্যে মেঘহীন আকাশ জোটেনি। তবু কয়েকটি ঝরনা আর দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ বনানীর মাঝে কুমায়ুন হিমালয়ের এই ছোট্ট গ্রামটি ছবির মত সুন্দর।
আমাদের গাড়োয়ালী ড্রাইভার কুমায়ুনের কিছুই চেনেনা,তাই মুক্তেশ্বরের মহাদেব মন্দির ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারিনি। আমাদের গেস্ট হাউসের সামনেই দেখলাম একটি ফুলে-ভরা বাংলো, যেখানে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মীরা এসে থাকেন। তার পাশ দিয়ে নেমে এসে পড়লাম সেই বাংলো বাড়ির উঠোনে।
আমাদের সাথে আরো একটি অবাঙালি পরিবারের দুই বাচ্চা তখন সেই নির্জন মুক্তেশ্বরকে কলকাকলিতে মুখর করছে। উঠোন বলতে বাংলোকে পেছনে রেখে সামনে পাহাড়ের এক চাটান। সেখান থেকে মেঘমুক্ত আকাশে দেখা যায় হিমালয়ের শৃঙ্গগুলিকে সামনে রেখে ভোরের সূর্যোদয়।
পরদিন ভোরে উঠেও সেই অসাধারণ দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হয়নি। বিকেলে বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ের ওপর নতুন লাল সাদা রঙ-করা ছোট্ট পোস্ট অফিস দেখলাম, যেটি ১৯০৫ খ্রীস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। জিম করবেটের লেখায় এই পোস্ট অফিসের কথা পাওয়া গেছে।
পরদিন আবার সেই গাড়োয়ালি ড্রাইভার রাওয়াতের সাথে কৌশানীর পথে। যাবার পথে আলমোড়া ছুঁয়ে বাগেশ্বর জেলার বৈজনাথ তীর্থক্ষেত্রে এসে রাওয়াত গাড়ি থামাল।
গোমতী নদীর বাম তীরে খ্রীষ্টীয় নবম থেকে বারোশ শতকে তৎকালীন কার্তিকেয়পুরায় কার্তিকেয় রাজাদের তৈরি একাধিক হিন্দু দেবদেবীর মন্দির পাশাপাশি রয়েছে। সুপ্রাচীন এই মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম শিব মন্দিরটি তৈরি করেন রাজা নরসিং দেও ।
এছাড়া পাশাপাশি গনেশ,পার্বতী, চন্দ্রিকা,কুবের, সূর্য মন্দিরগুলিও প্রাচীনতার চিহ্ণ বহন করছে।
চারপাশে পুরোনো পাথরের মন্দিরগুলির পদতল ধুইয়ে দিচ্ছে একটি কালো জলের হ্রদ, যেখানে ভেসে বেড়াচ্ছে অসংখ্য নানা রকম বড় বড় মাছ।
মেয়ে তো রাওয়াতের তীব্র গতিতে গাড়ি চালানোয় দ্বিতীয় দিনেও বমি করে ক্লান্ত, তবু বৈজনাথের প্রাচীন মন্দিরগুলি আর জলে ভেসে বেড়ানো মাছ দেখে ও একটু উৎফুল্ল হল। বৈজনাথ ছেড়ে রাত্রিবাসের উদ্দেশ্যে চললাম কৌশানির গান্ধী আশ্রমে ।
Distance between Nainital-Mukteshwar-Koushani- Bageshwar
নৈনিতাল-মুক্তেশ্বর- ৫১ কিমি
নৈনিতাল-কৌশানি- ১২০ কিমি ভায়া আলমোড়া
কৌশানি-বৈজনাথ- ২০ কিমি
দ্বিতীয় পর্ব
কৌশানি
বৈজনাথ থেকে কৌশানির পাহাড়ি পথের দূরত্ব মাত্র সাড়ে ষোল কিলোমিটার মত। পথে বাগেশ্বর জেলার চা-বাগানের মাঝখানের রাস্তা দিয়ে প্রায় একঘন্টা লাগল রাওয়াতের একে তাকে জিজ্ঞেস করে কৌশানির গান্ধী আশ্রম পৌঁছাতে।
স্বাধীনতার সময় কৌশানি আলমোড়া জেলায় থাকলেও ৬২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই পাহাড়ি জনপদটি ১৯৯৭ খ্রীস্টাব্দে উত্তরাখন্ডের বাগেশ্বর জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়।
কুমায়ুন হিমালয়ের কোলে কৌশানির অপার শান্তির জায়গা এই অনাসক্তি আশ্রম। ১৯২৯ খ্রীস্টাব্দে মহাত্মা গান্ধী এখানে এসে দু সপ্তাহ ছিলেন। লাল টালিতে ছাওয়া এই আশ্রমের একটি লাইব্রেরি, প্রার্থনাঘর এমনকি ক্যান্টিনও আছে।
আমরা আশ্রমের খোলা উঠোনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলাম এই অনন্ত, অপার পাহাড়ের সৌন্দর্য মাঝে অনুপম ফুলে-ফলে ভরা আশ্রয়স্থলটির দিকে।
মাত্র চব্বিশটি ঘর আছে গেস্ট হাউসে একটি আমাদের জন্য বরাদ্দ হল, কিন্তু আমাদের তিনজনের জন্য কক্ষের বিছানাটি ছোট হওয়ায় আমরা অন্য ঘর চাইলাম। তখন আমাদের জন্য যে ঘর বরাদ্দ হল সেটিতেই একসময় পরাধীন ভারতের রাজনৈতিক নেতারা এসে থাকতেন।
সেই রকমই দুটি পাশাপাশি ঘর আশ্রমের খোলা চাতালে লাল টালিতে বানানো আছে। তারই একটি আমরা পেলাম। সামনে বাঁধানো চাতাল সিঁড়ি বেয়ে নামলেই উঠোনে তখন ভ্রমনার্থীরা জড় হচ্ছেন হিমালয়ের ওপারে সূর্যের অস্ত যাওয়া দেখতে। আমরা ঘরে ঢুকে পুরোনো আসবাব আর প্রাচীনতায় মোড়া সেই পাঁচশো টাকার ভি আই পি রুমে জিনিসপত্র রেখে বাইরে এলাম সূর্যাস্ত দেখতে।
আশ্রমের রেলিং এর ওপারে পাহাড়ের খাদ সামনে ৩০০ কিমি বিস্তৃত সুউচ্চ হিমালয়ের নানান শৃঙ্গ কেদারনাথ, ত্রিশূল, নন্দাদেবী, পঞ্চচুল্লি, চোখাম্বা, নন্দকোট ।
তার ওপারেই সূর্যের বিদায় দেখতে উৎসাহী দর্শকদের ভীড়ে আমরাও মিশে গেলাম। ওপারে রবি,এপারে নানান কবির মিলিত স্বরে রবিপ্রনাম,কৌশানির অনাসক্তি আশ্রম প্রাঙ্গন মুখরিত হয়ে উঠল। রবি বিদায়ের পর অন্যান্য ভ্রমনার্থীরা ফিরে গেল,আর আমরা তিনজন আশ্রমের প্রার্থনা গৃহে ঢুকলাম। সেখানে বাকি আবাসিকেরাও একে একে এসে মাটিতে পাতা সতরঞ্জিতে বসলাম।
সামনে হারমোনিয়াম রাখা। একটু পরেই আশ্রমের বৃদ্ধ ম্যানেজার এসে বসলেন সামনে হারমোনিয়াম বাজিয়ে একজন গান ধরলেন, “ইতনি শক্তি হামে দে না দাতা মনকা বিশ্বাস কমজোর হো না।”
হয়তো সুর-তাল -লয়-সমৃদ্ধ নিখুঁত সঙ্গীত তা ছিল না, তবু জনা পঞ্চাশেক আবাসিক আর আশ্রম কর্তৃপক্ষের মিলিত স্বরে সেদিন ওই নিরালা পাহাড়ের কোলে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল এককথায় তার বর্ননা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
একটা অনাস্বাদিত অনুভূতিতে মন ভরে গেল, গলা মেলালাম আমিও। ফিরে এসেও সে গান ভুলিনি।কথাগুলো লিখে আমার দ্বিতীয় কর্মস্থলের অবোধ শিশুদের সেগান শুনিয়েছি,শিখিয়েছি। ঈশ্বরের কাছে শক্তি চেয়ে নেবার দীক্ষা পেয়েছি সেদিন অনাশক্তি আশ্রমের প্রার্থনা গৃহে।
এরপর ওই ফেজ টুপি পরা বৃদ্ধ ব্যক্তি আবাসিকদের অনুরোধ করলেন দেশভক্তি অথবা ভজন গাইতে।
অনেকেই গাইলেন নিজস্ব ভাষায় দেশবন্দনা। বাঙালিদের মধ্যে আমি উঠে গাইলাম দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সেই বিখ্যাত গান, ” ধনধান্য পুষ্প ভরা।”
ভেবেছিলাম প্রথম দুটো গেয়েই শেষ পঙতি “ভায়ের মায়ের এত স্নেহ” ধরব। কিন্তু সামনে বসা বৃদ্ধ মানুষটি সমানে আমার সঙ্গে গাইতে লাগলেন এবং সঠিক সময়ে “পুষ্পে পুষ্পে ভরা সাখী ” গেয়ে উঠলেন। বাধ্য হলাম অবাঙালি ভদ্রলোকের গলায় বাঙলা গানের নিখুঁত কথাগুলি শুনে পুরো গানটা গাইতে।
গান্ধীজির আশ্রমে বসবাসের কয়েকটি ছবি, ব্যবহৃত জিনিস দিয়ে সাজানো সংগ্রহশালা দেখে অপূর্ব এক সন্ধ্যা কাটল কুমায়ুনের বুকে।
রাত্রে আশ্রমেরই ভোজনালয়ের কুপন কেটে খেতে গেলাম সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে একটা ঘরে। রান্নাঘর সংলগ্ন একটি কম পাওয়ারের আলো জ্বলা ঘরে সারি দিয়ে মেঝেতে বসে খাওয়া হল। কমবয়সী কয়েকটি আশ্রমিক তরুন খাবার দিচ্ছিল। রুটি, লাউয়ের তরকারি। তাই দিয়েই যৎসামান্য খেয়ে সেই কড়িকাঠওয়ালা ঘরে এসে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম।
পরদিন ভোরে উঠে হিমালয়ের শৃঙ্গগুলো দেখার আশায় বাইরে এলাম,তখনো দেখলাম অনেক ভ্রমনার্থী আশেপাশের হোটেলগুলো থেকে হাজির হয়েছে। কিন্তু আকাশ মেঘমুক্ত না হওয়ায় মেঘে ঢাকা পাহাড় দেখেই অনাসক্তি আশ্রম থেকে বিদায় নিলাম।
সেখান থেকে কাছেই মাত্র এক কিলোমিটার দূরে পাইনের জঙ্গল ঘেরা একটি জায়গায় গান্ধীজির শিষ্যা সরলা বেন কুমায়ুনের মহিলাদের স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে একটি আশ্রম তৈরি করে গেছেন,নাম লক্ষী আশ্রম। সেই ছায়া-সুনিবিড় আশ্রমে গিয়ে মহিলাদের নানান বিপনিতে ঢুঁ মারলাম। পাহাড়ে উৎপাদিত মশলার কয়েকটি প্যাকেট কিনলাম তার মধ্যে একটি বেশ আকর্ষণীয়, আদাগুঁড়ো।
তার আগে কখনো কোথাও আদাগুঁড়ো বিক্রি হতে দেখিনি। কয়েক প্যাকেট কিনে ফেললাম, আগামী কয়েকমাস আদা বাটতে হয়নি।
পাহাড়ের চড়াই ভেঙে রাওয়াতের গাড়ি ছুটল চকৌরির পথে। মাঝপথে রাওয়াতের রাফ চালনায় সামনে আসা গাড়ির ধাক্কায় আমাদের গাড়ির সামনের মিররটা ভেঙে খান খান হয়ে গেল। ভগবানের অশেষ কৃপায় বড় কিছু হয়নি! কোনরকমে বৃষ্টি মাথায় করে চকৌরির এক হোটেলে আশ্রয় নিলাম।
কৌশানি ভ্রমনের সেরা সময় কোনটি ?
বছরের যেকোনো সময়েই আপনি আসতেই পারেন। কৌশানির জলবায়ু একটি স্বাস্থকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। সবুজ দেখতে হলে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসুন আর বরফ দেখতে ডিসেম্বরের লাস্ট থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।
গ্রীস্মকালে কৌশানি : (এপ্রিল, মে জুন ,জুলাই ) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬-ডিগ্রী C , সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০-ডিগ্রী C ।
শীতকালে কৌশানি : (নভেম্বর , ডিসেম্বর ,জানুয়ারী ,ফেব্রুয়ারী ) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৫-ডিগ্রী C , সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২-ডিগ্রী C ।
কৌসানিতে তুষারপাত : জানুয়ারী ,ফেব্রুয়ারী।
বৃষ্টিপাত (বর্ষা ) কৌশানীতে : জুলাই , অগাস্ট , সেপ্টেম্বর।
Ek kothai durdanto!! ”
Jamon sundor jhorjhore vasha temon e tathyo bohul. Osadharon laglo😊😊